ফকির থেকে কোটিপতীঃ

 এক গ্রামে দু-জন বন্ধু ছিল, তারা একে অন্যের অন্তরঙ্গ বন্ধুছিল । তারাছিল অনেক গরিব দিন অনে দিন খাঁয়ে। বসৎ বাড়ি ছারা তাদের ধন সম্পদ বলতে  কিছুই ছিল না । একজনের নামছিল আফছার, আর আন্য জনের নামছিল রমিজ। রমিজ মিঞার বাড়িতে তার স্ত্রী ও তার বৃদ্ধ মা ছিল। আর আফছার মিঞার  স্ত্রী ও দুই সন্তান ছিল। তাদের ফ্যামিলিতে এতই অভাব ছিল যে তাদেরকে ভিক্ষাকরে খেতেহত।  এবাবে তারা প্রতিদিন ভিক্ষাকরত সন্ধ্যা বেলা বাসায়ে এসে সবাইকে নিয়ে খেত। একদিন দুইবন্ধু বুদ্ধি করল যে, আমারা গ্রামেবশে কম ভিক্ষা পাই। চল আমরা পাসের দেশে যাই তাহলে আনেক টাকা পয়েসা পাব। তাই তারা দু-জনে মিলে পাশেন দেশে চলে গেল। কিছু দিন আতিবাহিতো হওয়ার পড়ে আফছার মিঞা বলল বন্ধু আমি বাড়িতে যাব, আমার ভাল লাগছেনা। বন্ধু বলল আচ্ছা ঠিকআছে। তাই রমিজ মিঞা বন্ধুর কাছে অল্প কিছু টাকা পয়েসা তারকাছে যা ছিল তাপাঠিয়ে দিল, আরও দিল চারপিছ লেবু, যা তিনি ঐদিনকে ভিক্ষা করে এনেছিল। আফছার মিঞা চলে আসল, রমিজ মিঞা থেকে গেলেন। বিদেশ থেকে আসার সময়ে আন্য একদেশের উপর দিয়ে আসতে হয়।  আফসার মিঞা যখন আন্যদেশের উপর দিয়ে আসছিল তখন ঐদেশের বাদশার চোখে সমস্যা হইছিল, কোন ডাক্তার কোন ঔষধে বাদশার রোগ সারাতে পরছিলনা। তখন ডাক্তার গন আবিষ্কার করল  লেবুদিয়ে ঔষধ বানিয়ে  চোখে ব্যবহার করলে তারচোখ ভাল হবে। 

বাদশার লোকজন দেশের আনাছে-কানাছে সব জাগায় তন্ন তন্ন করে খুজে বেরাচ্ছিল কিন্তু তখন ঐদেশে লেবু ছিলনা, তখন আফসার মিঞা লেবুগুলো হাতেজুলিয়ে নিয়ে আসছিল। ঠিকঐসময়ে  সেনাবাহিনীর কর্নেল দেখতেপেল আফসার মিঞা হাতে জুলিয়ে লেবুনিয়ে যাচ্ছে। কর্নেল বলল তোমার লেবু আমার কাছে বিক্রকরে দাও তার বিনিময়ে তুমি কতটাকা চাও। আফসার মিঞা বলল লেবু বিক্র করব না। কর্নেল বলল তোমার জত টাকা লাগে ততটাকা দিব। আফসার মিঞা বলল এর উপযুক্ত মূল্য আপনি দিতেপারবেন না। কর্নেল রাগে গেলেন এবং ভিক্ষারিকে ধরে রাজকর্জালয়ে নিয়ে গেলেন।

বাদশা বলল তোমার লেবুর দাম কতটাকা। আফসার মিঞা বলল এ লেবুর উপযুক্ত দাম কেহ দিতে পারবে না। বাদশা বলল আমি পারব। এবার ভিক্ষারিকে সব বিস্তারিত বলা হল। ভিক্ষারি বলল উপযুক্ত দাম দিলে আমি দিতেপারি। বিক্ষারী বাদশাকে লেবু দিল। বাদশার চোখভাল হয়েগেল।


বাদশা আফসার মিঞাকে আনেক স্বর্ণমুদ্রা দিল  এবং জিজ্ঞেস করল। তোমার লেবুর মূল্যকি হয়েছে। আফসার মিঞা বলল স্যার এই লেবুর মূল্য আমি যানি না। আপনার যদি মনে  হয় যে লেবুর সঠিক মূল্য হয়েছে তাহলে হয়েছে, আর যদি মনে হয় এর উপযুক্ত মূল্য হয়নি তবে হয়নি।

এই কথাশুনে বাদশা তাকে আরও স্বর্ণমুদ্রা বাড়িয়ে দিলেন যা ভিক্ষারী একা নিতে  পারছিলনা কোনভাবে নিয়ে আসল। 

@@ আপনাদের কাছে একটি প্রশ্ন নিচের আংশ না পড়ে বলুন, আফসার মিঞা টাকা কার বাড়ি নিয়ে গেল?

উত্তর করুন কমেন্টে। 

আমি বলছি রমিজ মিঞার বাড়িতে নিয়ে এলেন রমিজ মিঞার মা ও স্ত্রী স্বর্ণমুদ্রা দেখে অভাগ হয়ে গেল। আফসার মিঞা বলল চাচী এসব কিছু আপনার ছেলে রমিজ পাঠিয়েছে। এগুলো সব আপনাদের।  এর পর আপসার মিঞা বাড়ি-গাড়ি,জায়গা জমি অনেককিছু বানিয়ে দিল। বাড়ি বানিয়েছে বিল্ডিং করেছেন রাজার বাড়ির মত। 

দুই বছর পরে যখন রমিজ মিঞা বাড়িতে আসল। সে তার বাড়ি চিনতে পারছে না। তার নিযের বাড়িকে দেখে মনেমনে বলতে লাগল এখানে তোআমার বাড়িছিল, বন্ধুকি সব দখল করে নিলনাকি? 

এগুলো বলতে না বরতে -ই বাড়ির ভেতর থেকে আফসার বের হয়ে আসল। বন্ধুকে দেখে রমিজ বলল এটাকি করলি তুই আমার বাড়িটাও দখল করে নিলি? আফসার বলল না বন্ধু তোর বাড়ি তোর- ই আছে।  এ কথা বলে আফসার মিঞা বাড়ির চাবি রমিজ মিঞার কাছে দিল এবং আফসার মিঞা তার নিজের বাড়িতে চলে গেল।

@@ একেই বলে বন্ধুর সাথে  বন্ধুর আঙ্গিকার। আমরা যদি সবাই সবার আঙ্গিকার রক্ষাকারী, তবেই পরিপূর্ণ মুসলমান হতে পারব।

ভিক্ষারি থেকে রমিজ হয়ে গেলেন এলাকার মাতুব্বার কিন্তু রমিজ মিঞা তার পূর্বের ইতিহাসের কথা বোলেননি। তিনি যদি কোথাও সালিসি করতে জেতেন তার ভিক্ষার ঝুলি চেয়ারের পিছনে লটকে রাকতেন। কপালে থাকলে এই রকমের হয়।

Post a Comment

0 Comments