Bangladesh

 বাংলাদেশ 

সজলা- সুফলা শষ্য- শ্যামলা  সবুজে সবুজে কানায়ে কানায়ে পরিপুণ্য সে আমার সোনার বাংলাদেশ। পদ্মা, মেঘনা, যমুনা ও সুরমা নদীগুল একেবেকে ঢানা মেলে চলেগেছে দেশের আনাছে কানাছে। এই নদীজুরে ছরিয়ে ছিটিয়ে আছে নানান প্রজাতির মাছ। জাতীয় মাছ ইলিশ। ইলিশ মাছ উৎপাদনে 


পৃথিবীর সুন্দরী কন্যা হলো বাংলাদেশ সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলা আমাদের এই দেশ বাংলাদেশ। বাংলাদেশের জন্মেছি বলে আমরা সবাই ধন্য। এটি দক্ষিণ এশিয়ার স্বাধীন দেশ, এমন সুন্দর দেশ আর কোথাও নেই, তাই কবি বলেছেন;

      "এমন দেশটি কোথাও খুঁজে 

       পাবে নাকো তুমি 

       সকল দেশের রানী 

       সে যে আমার জন্মভূমি।"

 

1971 সালে সুদীর্ঘ 9 মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে। বাংলাদেশের মানুষের মাতৃভাষা বাংলা, এদেশের মানুষ খুবই উৎসব প্রিয়। জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে মানুষ নানান উৎসবে একসাথে মিলেমিশে আনন্দ উল্লাস করে। বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ বাঙালি হলেও এখানে বিভিন্ন উপজাতির মানুষ ও বসবাস করে। যেমন- চাকমা, গারো, খাসিয়াও সাঁওতাল ইত্যাদি। 

এই বিচিত্র এ দেশের গৌরব আমাদের এই দেশ প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর এ দেশের মাটি খুবই উর্বর। তাই এদেশের মাটিতে ফলে প্রচুর ফসল তাই আমরা এদেশকে বলি সোনার বাংলা দেশ। আমাদের এই বাংলা মায়ের স্নেহের মত আলো-বাতাস প্রাকৃতিক সম্পদ দিয়ে আমাদের বাঁচিয়ে রেখেছে। প্রত্যেক দেশবাসীর উচিত দেশকে ভালোবাসা, দেশকে ভালোবাসার মধ্য দিয়ে সার্থক হয়ে উঠবে আমাদের সবার জীবন। 

বাংলাদেশ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যঃ

        এটি অপরূপ রূপে মা 

        তোমায় হেরিনু পল্লী-জননী 

        ফুলে ও ফসলে কাদা মাটি 

         জলে ঝলমল করে ধরণী। 

কবি হৃদয়ে একরাশ উচ্ছ্বসিত পংকি বাংলাররুপ  সৌন্দর্য ধারণ করে রেখেছে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এমনকি রাতের বেলাও খেলা চলে বাংলার রূপ সৌন্দর্যের। এদেশের সবুজ বন বনানী শ্যামল প্রাকৃতিক বিস্তীর্ণ সমুদ্র সৈকত নদ-নদী বহুমাত্রিক সৌন্দর্য ধারণ করে রয়েছে। সৌন্দর্যপিপাসু মানুষ এই বাংলাদেশে মাঝ থেকে বিভিন্ন সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারে। রুপশিবাংলা বিচিত্র উপকরণে নিজেকে সাজিয়ে রেখেছে সবুজ শ্যামল প্রকৃতির মাঝে সৌন্দর্যের খেলা চলে রাত্রি দিন। প্রকৃতিকে ভালোবেসে তার সৌন্দর্য উপভোগ করতে মানুষ ছুটে যায় পাহাড় নদী সমুদ্র ও বনভূমির কাছে। বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের প্রভাব রয়েছে বাংলা ভাষা ও সাহিত্য।

বাংলাদেশ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও ঋতুবৈচিত্র্যঃ

প্রকৃতি রুপসী কন্যা আমাদের এই বাংলাদেশ। ষড়ঋতুর দেশ বাংলাদেশ। গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ, হেমন্ত, শীত ও বসন্তের দেশ। এক ঋতু যায় আর আসে অন্য ঋতু। গ্রীস্মের সন্তাপ, বর্ষার সজলতা, শরতের নীল আকাশ, হেমন্তের সৌরভ আর শীত বসন্তের সৌন্দর্যে আমরা মুগ্ধ হই। বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য তার ঋতু বৈচিত্রের মধ্যে চমৎকারভাবে প্রত্যেক করা যায়। বারো মাসে ছয় ঋতু এদেশের প্রতিটি ঋতুর তার অন্যান্য বৈশিষ্ট্য নিয়ে আগমন করে এবং নিজের অনাবিল সৌন্দর্য উপহার দিয়ে বিদায় নেয়। সারাটি বছর নব নব রূপে মধ্যে আমাদের বসবাস। প্রকৃতির পাল্টায়, আকাশ রং বদলায় আমাদের মনের আকাশে ও লাগে তার ছোঁয়া বাংলাদেশের প্রকৃতি যেন বৈচিত্র্যময় মনোলোভা সৌন্দর্যের খনি। এ রোদ্রময়ে  উজ্জ্বল দিন স্নিগ্ধ জোছনাময় রাত দীগন্ত জোরা ছায়া ঘন বন বনানী কত না নদীর রুপালি  ঠেউয়ের হাসি ইত্যাদি তুলনা নেই। এদেশের কাজল কালো দিঘির জলে ফুটে থাকার শাপলার শোভা মাঠে হাওয়া দোলা সর্ষের ফুলের অফুরন্ত সৌন্দর্য আমাদের মুগ্ধ করে। এমনই বিচিত্র ও অপরূপ সৌন্দর্যের আধার আমাদের এই বাংলাদেশ। 

পল্লী প্রকৃতিঃ 

তুমি যাবে ভাই, 

যাবে মোর সাথে। 

আমাদের ছোট গায়, 

হরিতে হিরণে সবুজে-শ্যামলে সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলা আমাদের এই দেশ বাংলাদেশ। 

যার মূল ভিত্তি ছায়াসুনিবিড় শান্তির নীড় ছোটো ছোটো গ্রামগুলি প্রায় 92 হাজার গ্রাম নিয়ে গঠিত এই দেশের শতকরা 85 জন লোক পল্লীগ্রামের বাস করে।পল্লী সুজলা সুফলা রুপ নিয়ে কবির কণ্ঠে ধনীত হয়েছিল - আমাদের গ্রামখানি ছবির মতন মাটির তলায় এর ছড়ানো রতন।

বাংলাদেশের ফুল, ফল, পাখি সুন্দর্যঃ

বাংলার সুন্দর্যকে আনেক আংসে বাড়িয়ে দিয়েছে নানা রঙ বে রঙের ফুল -ফল ও পাখি। গাছে গাছে অসংখ্য পাখির বিচরণ আর কিচিরমিচির মানুষের মন বড়িয়ে দেয় পাখিদের দৈহিক কন্ঠ আর সৌন্দর্য মনমুগ্ধকর। কিছু কিছু পাখি আছে যারা সুমধুর সুরে গান করে। আমাদের চারপাশে চোখ মেলে তাকালেই দেখা যায় নানা রঙ্গের চেনা-অচেনা ফুল গাছে গাছে ফুটে আছে। এগুলো প্রকৃতিকে আরো সৌন্দর্যমন্ডিত করে বরিয়ে দেয়।

 ফুলে ফুলে মৌমাছি ও প্রজাপতির চন্দন বেগে ছুটে চলে, এরা এক ফুল থেকে আরেক ফুলে ছুটে চলে।এদেশের পাওয়া যায় মৌসুম ভিত্তিক বিভিন্ন ফল- আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু ও আনারস প্রকৃতি ফলে দেশের সৌন্দর্যকে আরো কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। এসব ফল খেতেও দারুন মজা। 


বাংলাদেশের সৌন্দর্য সম্পর্কে কবি বলেছেনঃ

"পুষ্পে পুষ্পে ভরা শাখী কুঞ্জে কুঞ্জে গাহে পাখি গুঞ্জরিয়া আসে অলি পুঞ্জে পুঞ্জে ধেয়ে তারা ফুলের উপর ঘুমিয়ে পড়ে ফুলের মধু খেয়ে। "


বাংলাদেশ বিশ্বে এক নাম্বার।

আরও রয়েছে পাট, পাট উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে ২য়, পাটকে সোনালী আঁশ বলা হয়।

বাংলাদেশ একটি স্বাধীন দেশ। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বার বাংলাদেশ স্বাধীনতা  লাভ করেন।  বাংলাদেশ পাকিস্তানের কাজ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে। এ দেশের আয়াতন ১৪৭৫৭০ বর্গ কিলোমিটার। বাংলাদেশ এশিয়া মহাদেেশর দক্ষিণে অবস্তিত। বাংলাদেশের জনসংখ্যা প্রায় ২০ কোটি। এটি একটি জনবহুল দেশ। জনসংখ্যার দিকদিয়ে বিশ্বে ৯ম স্থানে রয়েছে। জনসংখ্যায়ে ১ম চীন, ২য় ভারত। বাংলাদেশ ১ম আন্তর্জাতিক সংস্থা কমানোওয়েলথ এর সদস্য পদ লাভ করে ১৯৭২ সালে। জাতিসংঘের সদস্য পত লাভকরে ১৯৭৩ সালে, ১৩৬ তম আদিবেসনে। 


বাংলাদেশের জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১ম প্রসিডেন্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বাংলাদেশকে ৮টি বিভাগ ৬৪টি জেলা রয়েছে। ১২ টি সিটি কর্পোরেশন রয়েছে। 


বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক খেতাব প্রাপ্ত ( GI) প্রন্য রয়েছে ৯টি। বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক মানের এয়ারপোর্ট রয়েছে ৩টি। আন্তর্জাতিক মানের নদী রয়েছে ২৬টি। 

বাংলাদেশে রয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভ-দ্বীপ সুন্দরবন। তাছারা বাংলাদেশে রয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সমুদ্র বন্দর কক্সবাজার সমুদ্র বন্দর। যার দৈঘ্য ৮০ কিলোমিটার। 


বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। বাংলাদেশকে গোষনা করেছেন ডিজিটাল বাংলাদেশ। বাংলাদেশ নিম্নআয়ের দেশ থেকে মধ্যেম আয়ের দেশে উতৃন্ন হবে ২০২৬ সালে। বাংলাদেশর মাথাপিছু আয়ের পরিমান ২৮৫৬ মর্কিন ডলার। বাংলাদেশ বিশ্ব ৫৭তম দেশ হিসাবে সেটেলাইট উৎক্ষেপন করেছে, বঙ্গবন্ধু -১, বাংরাদেশে তৈরী হচ্ছে রুপপুর পরমানুবিক বিদুৎ কেন্দ। বাংলাদেশ তৈরী হয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সেতু, পদ্মা সেতু। এগুলোছারাও আরও আনেক বড় বড় প্রকল্প বাস্থবায়ন হচ্ছে। এ সব কাজ  সম্পন্ন হলে বাংলাদেশ বিশ্বের উন্নয়নশিল দেশে পরিনত হবে।


চা

বাংলাদেশ চা উৎপাদনে তৃতীয় । রপ্তানিতে পঞ্চম। চা  বাংলাদেশের প্রধান অর্থকারি ফসল। চা বাংলাদেশের চাহিদা মিটিয়ে বিশ্বের নানানদেশে রপ্তানি হচ্ছে। বাংলাদেশে ১৫৫ টি চাবাগান রয়েছে। সব চেয়ে বেশি চা উৎপাদন হয় মৌলবিবাজার, 


পাট

পাট উৎপাদনে বাংলাদেশ দ্বিতীয়। পাট একটি অর্থকারী ফসল। পাট জাত পন্যসামগ্রিই বিক্রকরে বাংরাদেশ প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করে। পাট উৎপাদন শির্ষজেলা ফরিত পুর।

 আম

আম বাংলাদেশের একটি সু-সাদু ফল। বাংলাদেশের মানুষের কাছে আম সু-সাদু প্রধান। কাঠাল জাতীয় ফল হলেও সবার কাছে আম আনেক প্রিয়। আম উৎপাদনে প্রধান জেলা রাজশাহী। হিমসাগর, লকনো,গোপাল বোগ, মহানন্দ্ সহ আরও উন্নত জাতের আম রয়েছে।

Post a Comment

0 Comments