আমার বিসিএস

 
ড. বদরুল আলম
  আমার বিসিএস

চিকিৎসক
হওয়ার আগেই পণ করেছিলাম যে জীবনে বিসিএস দিবনা। প্রথমত আমার দ্বারা এই পরীক্ষার প্রস্ততি নেয়া একদমই সম্ভব না। আমার সেই ধৈর্য আর অধ্যাবসায় কোনটাই নেই। আর যদি অনন্ত জলিলের মত অসম্ভব কে সম্ভব করে বিসিএস হয়েই যায়, তবে সবার আগে আমাকে একটা হ্যারিকেন আর কাঁদা-প্রুফ রাবারের জুতা কিনতে হবে, যা আমি কখনই চাইনা। সেই আমিই একবার হুজুগে পড়ে বিসিএস দিয়েছিলাম। সেটাই এখন বলব। 
ঘটনাটা কত সালের তা ঠিক মনে নেই, সতের বা আঠার বছর আগের কথা। আমার এক বন্ধু কলিগ বেশ চাপে ধরল যে বিসিএস এর ফর্ম ফিলাপ করতে হবে। আমিতো কিছুতেই করবোনা। সে করাবেই। বলল, আগে ফিলাপ কর তারপর একটা সারপ্রাইজ আছে, সেটা পরে বলব। পণ হলেও যেহেতু সেটা ধনুরভাঙ্গা পণ নয়। আমি চাপের চোটে রাজী হয়ে ঢেঁকির ফর্ম পুরন করে জমা দিতে গেলাম। গিয়ে দেখি রঙ্গিন ছবি চলেনা! এখনও সাদা কালো যুগ চলছে। অতএব কি আর করা বাধ্য হয়ে বহু বছর পর আবার সাদা কালো ছবি তুললাম। ওর কথামত জমা দিয়ে অপেক্ষা করতে লাগলাম।
তারপর দিন যায়, মাস যায় বন্ধু কিছু বলেনা। আমি সারপ্রাইজটা কি জিজ্ঞেস করলে মিটিমিটি হাসে আর এড়িয়ে যায়।
অবশেষে চলে এল সেই প্রতীক্ষিত অগ্নিপরীক্ষার আগের রাত! আমি কিন্তু কোন প্রস্ততিই নেইনি। বরং অভিজ্ঞতাটা উপভোগ করবো বলে ভাবছি, এমন সময় আমার সেই বন্ধু এসে হাজির। হাতে তার কয়েকটা সাদা কাগজ। উত্তেজনায় তার হাত কাঁপছে। এমন করছিস কেন জিজ্ঞেস করতেই সে বললবলেছিলামনা সারপ্রাইজ আছে, এই দেখ সেই সারপ্রাইজ। আমি অবাক হয়ে তথাকথিত সারপ্রাইজ খোঁজার জন্য কাগজগুলো হাতে নিলাম। পড়ে দেখি কাগজ ভর্তি খালি প্রস্ন আর উত্তর!!! বললামএগুলা কি!!???” বন্ধুর উত্তর, “আরে বুঝসনা কেন? এগুলা কালকের পরীক্ষার প্রশ্নোত্তর।শুনে আমার আক্কেল গুড়ুম। বললাম- কই পেলি?, বন্ধু বলল- “সেটা তোর জানার বিষয় না তুই এগুলা ভাল করে দেখে রাখ। কাল এগুলাই আসবে। শুনে আমি আসলেই সারপ্রাইজ!!! তবে আমি ওর কথাটা পুরোপুরি বিশ্বাস করলামনা।
পরদিন ফিটবাবু হয়ে পরীক্ষা দিতে চলে গেলাম। বেশ আনন্দের সাথে সবার সিরিয়াসনেস উপভোগ করছিলাম। জীবনে এই প্রথম সিরিয়াসনেস আর প্রস্ততি ছাড়া পরীক্ষা দিচ্ছি। এই অভিজ্ঞতা মনে হয়না আর কোনদিন পাওয়ার সুযোগ হবে। যথারীতি পরীক্ষা শুরু হল। সময়মত প্রশ্নও দেয়া হল। প্রশ্ন হাতে নিয়ে

Post a Comment

0 Comments