মহিলারা কখনোই হারতে চায়েনাঃ

 



   

মহিলারা কখনোই হারতে চায়েনাঃ

        আজ আমি একটা মজার গল্প বলবো। যা আমার জীবনের ঘটে যাওয়া ছোটবেলার গল্প।  তখন আমি অনেক ছোট আমার বয়স কেবল মাত্র 10 থেকে 12 বছর। তখন আমাদের বাড়িতে আমার খালাতো বোন ও খালা আসলো মা তাদের জন্য রান্না-বান্না করতে ছিল, মুরগি রান্না করছিল, পিঠা বানাচ্ছে, আরো অনেক অনেক খাবার তৈরি করছিল।

 আমি আমার কাজিনের সাথে আনন্দে খেলা করছিলাম, তখনই আমার বাড়ির উপর আমার বাড়ির এক প্রতিবেশীর সাথে আমি মারামারিতে লিপ্ত হয়ে গেলাম। একপর্যায়ে আমি তাকে অনেক মার দিলাম। সে মারখেয়ে তার  মায়ের কাছে গিয়ে বিচার দিল। মা মা আমাকে অনেক মারছে। তখন তার মা আমার মায়ের কাছে চলে আসলো এবং বলল তোমার ছেলে আমার মেয়েকে কেন মারল? 

মা তখন কি বলবে, আমাকে জিজ্ঞেসা করল তুই  ঐমেয়েকে কেন  মারলে, মাকে আমি বানিয়ে বললাম, ও ওতো আমাকে মেরেছে। তখনই শুরু হলো আসল ঘটনা, মা আর আমার প্রতিবেশি শুরু হলো ঝগড়া। তোর মেয়ে আমার ছেলেকে কেন মারল একথা মা বলল।  আর প্রতিবেশী মহিলা বলল। তোর ছেলে আমার মেয়েকে কেন মারল। এভাবে  ঝগরা চলতে লাগলো দুপুর গরিয়ে বিকাল, আর বিকাল গরিয়ে রাত নেমে এল। ঝগরা চলতেই রইল। পরিশেষ জগরা করতে করতে দুই পক্ষই একেবারে কেলান্ত তার পর থামল।

 এদিকে রান্না- বান্না খাওয়া দাওয়া তেমন ভাল হলনি।যাই হোক  এভাবে ঐদিন চলে গেল পরের দিন চলে গেল তৃতীয় দিন আবার একটা গটনা গটল। সেটা হল আমার প্রতিবেশি সেই মহিলা আমার মাকে ছোট  করার জন্য, খাটো করার জন্য। এক পোতারনার জাল বুনল। আমার মা আমাদের বাড়ির উত্তর দিকে কিছু ধান শুকাতে দিল। সেগুল ছিল কালজিরা ধান।প্রতিবেশি মহিলা তাই দেখে দুপুর বেলা গিয়ে ধানের পাটিসহ বাজ করে নিয়েগেল এবং আমার মাকে বলল তুই এই ধান কোথায় পাইছ এই ধান আমার। মা বলল এধান আমাদের, আমার বাপের বাড়ি থেকে এনেছি। প্রতিবেশি মহিলা বলছে এ ধান আমাদের তুই চুরি করে আনেছিস। মা এই মিথ্যা অপবাদ কোনবােবই মেনে নিতে পারছিলনা। এই নিয়ে মহিলার সাথে বেদে গেল বিসাল ঝগড়া। এই ঝগড়া বেশকিছুদিন চলছিল। এর পর ঐ মহিলার সাথে মিলেগেল এবং ঝগড়া মিটে গেল।

 এর পর আনেক দিন পর ঐপ্রতিবেসি মহিলা আমার মাকে টাকা সঞ্চয় করার জন্য পরামর্শ দিল। এর পড় মা মহিলার কথা মত টাকা জমা করার চিন্তা করল এবং  টাকা জমাকরতে লাগল কিছু টাকা জমা করল। একদিন মহিলা এসে বলল আমরা একটি সমিতি করেছি এই সমিতিতে আনেক লোকজন টাকা জমাদিচ্ছে অনেক লাভান হবে, তুমি চাইলে এখানে টাকা জমাকরতে পার। তার কথাশুনে  মা তার বলা সমিতিতে টাকা জমাকরতে রাজিহয় এবং প্রতি মাসে টাকাজমা করতে থাকেন। এভাবে কয়েক বছর টাকাজমাকরতে থাকে এবং অনেক টাকা জমা হয়ে।  পরিশেষে দেখাগেল ঐ মহিলা আমার মায়ের সবটাকা অত্তসাত করল। 


এভাবেই ভোকা লোকেরা সবসময় ঠকে।

Post a Comment

0 Comments